প্রদোষ চন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদা সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র।[২] ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসের সন্দেশ পত্রিকায় ফেলুদা সিরিজের প্রথম গল্প “ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি” প্রকাশিত হয়। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত এই সিরিজের মোট ৩৫টি সম্পূর্ণ ও চারটি অসম্পূর্ণ গল্প ও উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। ফেলুদার প্রধান সহকারী তার খুড়তুতো ভাই তপেশরঞ্জন মিত্র ওরফে তোপসে ও লেখক লালমোহন গাঙ্গুলি (ছদ্মনাম জটায়ু)। ফেলুদার চরিত্র নির্মাণে সত্যজিৎ রায় তার ছোটবেলায় পড়া শার্লক হোমস এর গোয়েন্দা গল্পের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তাই ফেলুদার চরিত্রের সাথে অনেক জায়গায় আমরা হোমসের আর ফেলুদার ভাই ও সহকারী তোপসের সাথে হোমসের সহকারী ওয়াটসনের মিল পাই। নিজের লেখা অধিকাংশ গল্পের বইয়ের মতই ফেলুদার বইতেও সত্যজিৎ রায় নিজেই প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করতেন। সত্যজিৎ রায় ফেলুদার সোনার কেল্লা ও জয় বাবা ফেলুনাথ উপন্যাসদুটিকে চলচ্চিত্রায়িত করেন। এই দুই ছবিতে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। আর তাই তার অধিকাংশ বইয়ের ফেলুদার ছবির অলংকরণে সৌমিত্র চট্টপাধায়ের আদলের ছাপ স্পষ্ট। একই ভাবে জটায়ু চরিত্রের অলঙ্করণে স্পষ্ট সিনেমায় এই চরিত্রের জন্য তার নির্বাচিত অভিনেতা সন্তোষ দত্তের আদল। বর্তমানে সত্যজিতের পুত্র সন্দীপ রায় ফেলুদার গল্প ও উপন্যাস নিয়ে টেলিভিশন ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ফেলুদার রহস্য খুব জটিল।
তিন গোয়েন্দা বাংলাদেশের সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত জনপ্রিয়[১] একটি কিশোর গোয়েন্দা কাহিনী সিরিজ।
১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাস থেকে বিদেশী কাহিনী অবলম্বনে শুরু হয় এই সিরিজটি। প্রথম থেকেই রকিব হাসানই এই বিখ্যাত সিরিজটি লেখার কাজ করেন। রকিব হাসান একটানা ১৬০টি কাহিনী লেখেন। পরবর্তীতে শামসুদ্দীন নওয়াব এটি লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।[২] শামসুদ্দীন নওয়াব মূলত একজন গোস্ট রাইটার। ‘তিন গোয়েন্দা’ তিনজন কিশোর গোয়েন্দার গল্প।
তিন গোয়েন্দা পুরোপুরি মৌলিক কাহিনী নয়। ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন গোয়েন্দা কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে রচিত। বিশেষ করে প্রথম দিককার বইগুলো রবার্ট আর্থারের ইংরেজি সিরিজ “থ্রি ইনভেস্টিগেটরস” অবলম্বনে রচিত। আবার কিছু বই এনিড ব্লাইটনের “ফেমাস ফাইভ“ অবলম্বনে রচিত।[৩] এই তিনজন গোয়েন্দাকে ঘিরেই ‘তিন গোয়েন্দা’র শোভন প্রকাশনা বের হয় তিন বন্ধু নামে প্রজাপতি প্রকাশন থেকে।
দৈনিক প্রথম আলো পরিচালিত একটি জরিপে বেরিয়ে আসে, বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের পঠিত গল্পের বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বই হচ্ছে ‘তিন গোয়েন্দা’, আর প্রিয় চরিত্রের মধ্যে আছে যথাক্রমে কিশোর পাশা, রবিন মিলফোর্ড আর মুসা আমান। জরিপে ৪৫০ জনের মধ্যে ৮১ জনই (১৮%) তিন গোয়েন্দার পক্ষে মত দিয়েছে।[৪]
শার্লক হোমস (ইংরেজি: Sherlock Holmes) ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৮৮৭ সালে প্রথম আবির্ভূত এই চরিত্রের স্রষ্টা স্কটিশ লেখক ও চিকিৎসক স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। হোমস একজন উচ্চমেধাসম্পন্ন লন্ডন-ভিত্তিক “পরামর্শদাতা গোয়েন্দা”। নির্ভুল যুক্তিসঙ্গত কার্যকারণ অনুধাবন, যে কোনো প্রকার ছদ্মবেশ ধারণ এবং ফরেনসিক বিজ্ঞানে দক্ষতাবলে জটিল আইনি মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য তাঁর খ্যাতি ভুবনজোড়া।
কোনান ডয়েল হোমসকে নিয়ে চারটি উপন্যাস ও ছাপ্পান্নটি ছোটগল্প লিখেছেন। প্রথম কাহিনি আ স্টাডি ইন স্কারলেট ১৮৮৭ সালের বিটন’স ক্রিসমাস অ্যানুয়াল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় কাহিনি দ্য সাইন অব দি ফোর ১৮৯০ সালে লিপিনকোট’স মান্থলি ম্যাগাজিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৮৯১ সালে দ্য স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিন পত্রিকায় প্রথম ছোটগল্পের সিরিজটি প্রকাশিত হওয়ার পরই শার্লক হোমস চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯২৭ সাল পর্যন্ত হোমসকে নিয়ে একগুচ্ছ ছোটগল্পের সিরিজ ও আরও দুটি ধারাবাহিক উপন্যাস প্রকাশিত হয়। হোমস কাহিনির পটভূমির সময়কাল ১৮৮০ থেকে ১৯০৭ সাল; শেষ ঘটনাটির সময়কাল অবশ্য ১৯১৪।
চারটি বাদে সব কটি কাহিনিই হোমসের বন্ধু তথা জীবনীকার ডা. জন ওয়াটসনের জবানিতে লেখা। দুটি গল্প (“দ্য ব্লাঞ্চেড সোলজার্স” ও “দ্য লায়ন’স মেন” হোমসের নিজের জবানিতে এবং অন্য দুটি গল্প “দ্য ম্যাজারিন স্টোন” ও “হিজ লাস্ট বো“) তৃতীয় পুরুষে লেখা। দুটি গল্প আবার (“দ্য মাসগ্রেভ রিচুয়াল” ও “দ্য গ্লোরিয়া স্কট) হোমস ওয়াটসনকে নিজের স্মৃতি থেকে শুনিয়েছেন, এবং ওয়াটসন সেখানে কাহিনির কাঠামোটিই মাত্র বর্ণনা করেছেন। প্রথম উপন্যাস আ স্টাডি ইন স্কারলেট-এর মধ্যবর্তী অংশে হোমস ও ওয়াটসনের অজ্ঞাত ঘটনার দীর্ঘ বর্ণনা করা হয়েছে এক সর্বজ্ঞ বর্ণনাকারীর জবানিতে।
কোনান ডয়েল বলেছিলেন যে হোমসের চরিত্রটির অনুপ্রেরণা হলেন ডা. জোসেফ বেল, যাঁর অধীনে এডিনবরা রয়্যাল ইনফার্মারিতে করণিক হিসেবে ডয়েল কাজ করতেন। হোমসের মতো বেলও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পর্যবেক্ষণ থেকে বিরাট বিরাট সিদ্ধান্ত বের করতেন।[১]
Cookie | Duration | Description |
---|---|---|
cookielawinfo-checbox-analytics | 11 months | This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics". |
cookielawinfo-checbox-functional | 11 months | The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional". |
cookielawinfo-checbox-others | 11 months | This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other. |
cookielawinfo-checkbox-necessary | 11 months | This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary". |
cookielawinfo-checkbox-performance | 11 months | This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance". |
viewed_cookie_policy | 11 months | The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data. |